Your Cart
:
Qty:
Qty:
রঙ্গনের আদি নিবাস ক্রান্তীয় দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া। শহর বা গ্রামে, বাগানে বা বাড়ির সামনে, এমনকি সড়কদ্বীপেও দেখা মেলে এই রূপসী রঙ্গনের। কতে রঙের বাহার এই রঙ্গনের। কমলা, কমলা লাল, গোলাপী, হলদে গোলাপী, লাল, হলুদ, সাদা ইত্যাদি রঙের রঙ্গন হরহামেসাই দেখা যায়।
রঙ্গন ঘন চিরসবুজ গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। খুব বড় হয়না, সাধারণত এরা ৪ থেকে ৬ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়, তবে সর্বচ্চ ১২ ফুটের মত লম্বা হতে পারে। বাগানে বা লনে এদেরকে প্রতিবছর ছেটে দিয়ে সুন্দর আকৃতিতে রাখা হয়। রঙ্গন কম বা ধীর বর্ধনশীল গাছ।
রঙ্গনের একক ফুল নলাকৃতি, চারটি পাপড়ির বিন্যাস তারার মতো। রঙ্গনের এক-একটি থোকায় প্রায় ১৫ থেকে ৫০ টির মত ফুল থাকে। কিছু কিছু থোকায় ফুলের সংখ্যা আরো বেশি হতে দেখা যায়। লাল রঙের থোকার মধ্যে হঠাত হঠাত সোনালী বা ঘিয়ে রঙের একটা দুটা ফুল ফুটে থোকার সৌন্দর্য আরো বাড়িয়ে দেয়।
রঙ্গনের কোন ঘ্রাণ থাকে না, শুধু ব্যাতিক্রম সাদা রঙ্গনের বেলায়। এই সাদা রঙ্গণকে সুরভী রঙ্গনও বলা হয়। নাম থেকেই বঝা যাচ্ছে যে সাদা রঙ্গনের ঘ্রাণ আছে।
রঙ্গন গাছের পাতা ঘন বিন্যাসের হয়। পাতা সরল, উপবৃত্তাকার প্রায় ৪ ইঞ্চির মত লম্বা হয়। কচি পাতা বাদামি রং আর পরিণত পাতা চকচকে, মসৃণ গাঢ় সবুজ রঙের। রঙ্গন খুব কষ্টসহিষ্ণু গাছ। তেমন কোন যত্ন ছাড়াই বেড়ে উঠতে পারে।
রঙ্গন গাছে সাধারণত গ্রীষ্ম ও বর্ষা ঋতুতে ফুল ফুটলেও সারাবছরই কম বেশী ফুল ফুটতে দেখা যায়। তবে বর্ষায় রঙ্গন ফুল সবচেয়ে বেশী ফোটে। রঙ্গন ফুল দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং পর্যায়ক্রমে ফুটে।